দীর্ঘ ৬১ বছরের স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হলো ৮৪-বছর বয়সী তুর্কী নারী ফাতিমা মিহরিবান
আক্তারি। ইস্তাম্বুলের মিমার সিনান ফাইন
আর্টস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অবশেষ গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেছেন।
আক্তারির জন্ম তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বালিকেসিতে ১৯৩১ সালে। সেখানে তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে তার পরিবার জীবিকার তাগিদে ইস্তাম্বুলে চলে আসে এবং
সেখানে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
মাত্র সতের বছর বয়সে আক্তারির বাবা মারা যান। সংসার চালাতে পড়াশুনা ছেড়ে শিক্ষিকতা করতে বাধ্য হন। তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইরজিনসানের এক স্কুলে বছরখানেক
শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে তার বাবা ইস্তাম্বুলের
যে প্রিন্টিং কোম্পানিতে চাকুরি করতেন সেখানে কাজ নেন আক্তারি। ১৯৫১ সালে মিমার সিনান ফাইন আর্টস্ ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করার
সিদ্ধান্ত নেন এবং আবেদন করেও টিকেও যান আক্তারি।
পড়াশুনা এবং চাকুরি একসাথে চলতে থাকে। আবারো হোঁচট খান আক্তারি। কাজের চাপ এবং আর্থিক কারণে তাকে আবারো পড়াশুনা ছাড়তে হয়। তিনি পূণরায় শিক্ষকতা পেশায় ফিরে যান এবং বিয়ে করেন। তার দুই পুত্র রয়েছে। তিনি ১৯৮৮ সালে চাকুরি থেকে অবসরে যান।
আক্তারি যখন অবসর জীবন-যাপন করছিলেন তখন ২০১১ সালে জানতে পারেন মিমার সিনান ফাইন
আর্টস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যারা ভর্তি হয়ে পড়াশুনা সম্পন্ন করতে
পারেনি তাদের পূণরায় ভর্তি হতে পারবে। আক্তারি তার ছেলের বন্ধু উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি এক অধ্যাপকের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের
সংগ্রহশালা থেকে তার ভর্তির আবেদনপত্রটি খুঁজে পান এবং দীর্ঘ ৬১ বছর পর ২০১১ সালে আবার
বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
সংগ্রামী নারী আক্তারি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জীবনে বড় হতে হলে কঠোর পরিশ্রম
করতে হবে।’
No comments:
Post a Comment